1. abrajib1980@gmail.com : মো: আবুল বাশার রাজীব : মো: আবুল বাশার রাজীব
  2. abrajib1980@yahoo.com : মো: আবুল বাশার : মো: আবুল বাশার
  3. farhana.boby87@icloud.com : Farhana Boby : Farhana Boby
  4. mdforhad121212@yahoo.com : মোহাম্মদ ফরহাদ : মোহাম্মদ ফরহাদ
  5. shanto.hasan000@gmail.com : রাকিবুল হাসান শান্ত : রাকিবুল হাসান শান্ত
  6. masum.shikder@icloud.com : Masum Shikder : Masum Shikder
  7. shikder81@gmail.com : Masum shikder : Masum Shikder
  8. riyadabc@gmail.com : Muhibul Haque :

নিয়ম বর্হিভুত লাইন সম্প্রসারণ রাঙামাটি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ 

  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০২৩
  • ২০০ Time View

চৌধুরী হারুনুর রশীদ,রাঙামাটি: নিয়ম বর্হিভুত লাইন সম্প্রসারণ রাঙামাটির বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগে সীমাহীন অনিয়ম ও হরিলুট করার অভিযোগ! নিবার্হী প্রকৌশলীর মদদপুষ্ট তিনজন সহকারী প্রকৌশলী আতিকুল আলম,আবুল হাসেম, ওয়াহেদুজ্জমান শীতল ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী সরওয়ার কামাল বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রমানসহ প্রতিবেদকের কাছে আসছে।

অনুসন্ধান জানা গেছে,সম্প্রতি রাঙামাটি উপজেলা কোয়াটার পিছনে ভান্ডারী টিলায় ৫টি পোল ও আনুষাঙ্গিক মালামাল আর্থিক সুবিধা নিয়ে ঠিকাদার ব্যতীত লাইন সম্প্রসারণ করা হয়। পুর্বে সার্ভিস তার ব্যতীত কোন কুটি ছিল না। গতবছর ৬টি কার্য্যদেশ প্রতিটি ৫ লক্ষাধিক টাকার কাজ শেষ না হতেই জুনের আগে আংশিক বিল উত্তোলন করেন ঠিকাদার মাহী। বিল পরিশোধ না করায় কাজ শেষ করতে না দিয়ে জোরপুর্বক এসব পোল ও মালামাল মাঝের বস্তি উপকেন্দ্রে সংরক্ষিত এলাকায় ৩৪ টি পোল ২ বান্ডিল তার নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুর রহমানের নির্দেশে রাখা হয়েছে।

ঠিকাদার মাহী মুঠোফোনে প্রতিবেদককে জানায়, আমার ২টি কার্য্যদেশ বিল পরিশোধ করেনি নিবার্হী প্রকৌশলী আমার মাধ্যমে ছয় লক্ষাধিক টাকার অতিরিক্ত কাজ করিয়েছে। আমার ৩৪ টি পোল ও ২বান্ডিল তার রাঙামাটি কয়েকটি লাইন সম্প্রসারণ করেছে বলে খবর পেয়েছি। নির্বাহী প্রকৌশলী আমার বিল পরিশোধ না বলে আমি লিখি অভিযোগ করবো । সাবেক নিবার্হী প্রকৌশলী কথায় রাঙামাটি কাজ করতে গিয়েছি।

খবর নিয়ে জানাগেছে , ভান্ডারী পাহাড় এলাকায় ৫টি খুটি আনুষাঙ্গিক মালামাল নিয়ে আর্থিক সুবিধা নিয়ে স্থানীয় শ্রমিক দিয়ে লাইন সম্প্রসারণ করেন সহকারী প্রকৌশলী আবুল হাসেম। তার আগে রাঙাপানি লুম্বনী গেইটের বাম পাশের্^ পোল আনুষাঙ্গিক মালামাল দিয়ে লাইন সম্প্রসারণ করে সহকারী প্রকৌশলী আবুল হাসেম। পিডিবি নিয়ম অনুসারে ঠিকাদার এর মালামাল সরকারি সংরক্ষিত এলাকায় রাখতে পারে না । এবং টেন্ডার বিহীন ঠিকাদার ব্যতীত সহকারী প্রকৌশলী আবুল হাসেম স্থানীয় শ্রমিক দিয়ে এসব মালামাল নিয়ে অবৈধ ভাবে লাইন সম্প্রসারণ করতে পারে না বলে সংশ্লিষ্ট পিডিবির অফিস সুত্রে জানাগেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে,সহকারী প্রকৌশলী আবুল হাসেম আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে এসব মালামাল বিভিন্ন স্থানে ব্যবহার করার তথ্য রয়েছে। কোন ঠিকাদার পোল ও আনুষাঙ্গিক মালামাল রাঙামাটি ষ্টোরে (ভান্ডারে) জমা দেওয়ার যথারীতি নিয়ম রয়েছে। এসব মালামাল মাঝেরবস্তি উপকেন্দ্রে ঠিকাদার মাহী (মাহমুদ এন্টারপ্রাইজ) মালামাল নিবার্হী প্রকৌশলীর নির্দেশে মজুদ রেখেছে। মাঝের বস্তি উপকেন্দ্রে সরেজমিনে প্রতিবেদক গিয়ে তার সত্যতা পাওয়া গেছে,সেখানে মাত্র এক বান্ডিল তার প্রায় ১০/১২ টি পোল দেখা যায় ।

অনুসন্ধান করে অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে, তার আগে আবুল হাসেম কালিন্দিপুর ববি বাবুর এলাকায় ট্রান্স বসানোর জন্য ১৫ হাজার টাকা নিয়েছে,মানিকছড়ি সাপছড়িতে স্থানীয় স“মিলের মালিকের ছেলে আবচার মাধ্যমে ২৫হাজার টাকা,শিমুলতলীতে ১০ হাজার টাকার আর্থিক বিনিময়ে ট্রান্সফারমার বসানো হয়। মানিকছড়ি বিসিক এলাকায় লোড বাড়িয়ে দিতে রাজামিয়া থেকে ২৫ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সহকারী প্রকৌশলী আবুল হাসেম বিয়ে করেছেন ২টি এই অবৈধ আয় দিয়ে চট্টগ্রাম কর্ণেল হাট জায়গা ক্রয় করে বাড়ী করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। শ্রমিক নবীর নের্তৃত্বে কুদ্দুছ ও জসিম দিয়ে ঔসব অবৈধ লাইন সম্প্রসারণ দীর্ঘদিন ধরে দিয়ে আসছে।
এইসব বিষয়ে সহকারী প্রকৌশলী আবুল হাসেম বলেন,জরুরী কাজ আছে বলে ফোন কেটে দেন। আর রিসিভ করে না। প্রতিবেদক পিডির সামনে এক শ্রমিক থেকে জানতে পারে ফোন রিসিভ করে নিবার্হী প্রকৌশলীর রুমে ডুকে দুইজনে পরামর্শ করতে দেখা যায়।
এই ব্যাপারে মীর হুমায়ন কবির(রতন) ষ্টোর কিপার যোগাযোগ করলে মুঠোফোনে প্রতিবেদককে জানায়, ষ্টোর থেকে ভান্ডারী পাহাড়ের জন্য কোন মালামাল ইস্যু হয়নি। এসব মালামালমাল কোথায় থেকে কিভাবে আসলো কেউ জানে না। বাহির থেকে পোল ও আনুষাঙ্গিক মালামাল দিয়ে সম্প্রসারণ লাইন দেয়া পিডিবির কোন নিয়ম নেই। তিনি আরো জানায়, তিন জায়গায় তিনটি ট্রান্সফারমার নষ্ট হয়েছে আমি শুনেছি, বুধবার নষ্ট হলেও আমি রাঙামাটি ২দিন ছিলাম । খবর পেয়েছি তিন জায়গায় সহকারী প্রকৌশলী ওয়াদুজ্জমান শীতলসহ ঔসব জায়গায় গ্রাহকদের সাথে দেন দরবার শুরু করেছে।
এই বিষয়ে ঠিকাদার মাহীকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানায়-তিনি বলেন আমার কাজের আরো ৬ লাখ টাকা বিল দেয়নি ১০ লাখ টাকার ওপরে কাজ করিয়েছে,আমার পোল ও আনুষাঙ্গিক মালামাল নিয়ে বিভিন্ন স্থানে লাইন সম্প্রসারণ করার কারণে আমি প্রধান প্রকৌশলী বরাবরে অভিযোগ করবো।

Please Share This Post in Your Social Media

এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ দেখুন..